হে নীল কস্তুরী আভার চাঁদ,
তুমি তো জানো, আলো আমার ভাষা নয়—
আমি ডেকে উঠি না জীবনের ঝলসানো রোদে,
বরং সন্ধ্যার স্নিগ্ধ অন্ধকারে মিশে যাই,
যেখানে শুধু স্থিরতা, গভীর ও চিরকালীন।
তুমি কোনো বিক্ষিপ্ত স্বপ্নের দিশারী নও,
তোমার ছায়া ঝরে না উন্মাদনা নিয়ে,
তুমি আছো শীতল নক্ষত্রের মতো,
যেখানে দিনের তাড়না শেষ হয়
আর মৃত্যুর কোমল পরশ আসে বিনা শব্দে।
হৃদয়ের এই স্থির নদীতে—
যেখানে ঢেউ নেই, নেই কোনো চঞ্চলতা—
তুমি আছো শুধু একটি নীরব প্রতিফলন হয়ে,
যেখানে চেতনা আর অবচেতনার সীমানা মিশে যায়,
তুমি সেই অসীম ঘুমের দূত, যা কোনোদিন ভাঙবে না।
তোমার কোনো তীব্রতা নেই,
তুমি ব্যথার সঙ্গী নও, বরং শান্তির নিঃশব্দ স্বর,
যেখানে বেদনার রক্তাক্ত কণ্ঠরোধ হয়,
তোমার নীলাভ আলোয় দুঃখের স্পর্শও হয়ে ওঠে ম্লান।
তুমি আছো, হৃদয়ের সব থেকে গভীরে—
যেখানে কোনো স্বপ্ন নেই, নেই কোনো প্রত্যাশা,
শুধু আছে এক চিরকালীন রাতের আত্মসমর্পণ,
আর সেই অগাধ ঘুমের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুক্তি।
মন্তব্য: জীবনানন্দ দাসের অন্ধকার কবিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই কবিতা। খুব শীঘ্রই সমস্ত লেখাগুলো একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসার প্লান আছে। সময় স্বল্পতায় যদিও তা হয়ে উঠে না। তবে সমস্যা লেখার বিষয়বস্তুকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভাবা শুরু করে দেন অনেকে। তাতে লজ্জায় পড়ে যেতে হয় যেটা লেখার ক্ষেত্রে কিছুটা হলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। যাইহোক, সবটাই আমার সংকীর্ণতা!